যে ৭ টি গুন একজন ছাত্রের থাকতেই হবে
Table of Contents
১। বই পড়তেই হবে:
যত বেশি বই পড়বেন আপনার চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধি তত বৃদ্ধি পাবে। উন্নত চিন্তার অধিকারী হতে পারবেন। সেটা হতে পারে যে কোন বিষয়ের উপর লিখা বই ধর্ম চর্চা থেকে মার্কেটিং আর মার্কেটিং থেকে জীবন কাহিনী। অনেকেই এখন পিডিএফ বা ই-বুকে অভ্যস্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন নিয়মিত বই পড়ুন, এভাবে মগজের খুব ভাল ব্যায়াম হবে।
২। নেটওয়ার্কিং:
বর্তমান বিশ্ব নেটওয়ার্কিং এর বিশ্ব। নেটওয়ার্ক এর আদলেই পুরো বিশ্ব পরিনত হয়েছে বিশ্বগ্রামে। যেখানে এক দেশের মানুষ অনায়াসেই অন্য দেশের মানুষের সাথে কাজ করতে পারছে নিজ অবস্থানে থেকে। আর ক্যারিয়ার গঠনে বিভিন্ন মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকা ব্যাপারটি আপনাকে অন্যদেরকে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি পাবে।
৩। স্কিল/দক্ষতা:
যে কোন কাজে দক্ষতার মূল্যায়ন সর্বাধিক। আপনি একটি ভাল বাড়ি বানাতে যেমন দক্ষ আর্কিটেক্ট ও রাজমিস্ত্রী বাছাই করেন ঠিক তেমনই ছোট-বড় যে কোন কাজে দক্ষতার কদর বর্তমানে আকাশচুম্বী। আপনার পছন্দসই যে কোন বিষয়ে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করুন। তাহলে জীবন চালানোর মত গতি আপনি অনায়াসেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন। বর্তমানে সার্টিফিকেট এর চাইতে দক্ষতার প্রাধান্য বেশি পুরো দুনিয়ায় জুড়ে।
৪। ম্যাথ/অংক:
মস্তিষ্কের উর্বরতা বা তীক্ষ্ণতা অর্জনের জন্য অবশ্যই নিয়মিত ও প্রতিদিন ম্যাথ করুন। যারা নিয়মিত বই পড়েন ও বিভিন্ন অংকের সমাধান করেন তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জটিল, সহজ, জানা ও অজানা সব ম্যাথ নিয়ে মাথা ঘামান। নিজেই নিজের তীক্ষ্ণতার প্রমাণ পাবেন।
৫। ভাষাগত দক্ষতা:
বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ও জানতে শুধু মাতৃভাষা ও ইংরেজি জানাই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি চাইনিজ, জাপানি ও স্প্যানিশ এর বেশ ভালই কদর বেড়েছে বিশ্বব্যাপী কাজের ক্ষেতে। অবশ্য গুগল ট্রান্সলেশন এক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে। তবে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় শোনা, বলা ও লিখার পারদর্শীতা থাকা চাইই চাই।
৬। দক্ষতার উন্নয়ন:
দক্ষতা বলতে কি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান? না, বলতে গেলে অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার দেওয়া থেকে শুরু করে অনলাইনে খাবার বিক্রির সব কাজই দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত। প্রতিনিয়ত কাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন ডিজিটাল পরিবর্তন বা এনালগ পরিবর্তন। এসব পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজের কর্মসূচির প্রতিটি ধাপে দক্ষতার উন্নয়ন অব্যাহত রাখা খুব জরুরি। অবশ্যই আপনার কাজের ব্যাপ্তি হিসাবে আপনাকে আরো উন্নত হতে হবে।
৭। উপার্জন এর বিভিন্ন সেক্টর:
কোন একটা বড় বিজনেস ম্যান বলেছেন, সব গুলো ডিম এক ঝুড়িতে রেখো না। মানে আপনাকে উপার্জন এর বিভিন্ন সেক্টর গড়ে তুলতে হবে। একটিভ ইনকামের পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম এর রাস্তা তৈরি করতে হবে। সত্যি বলতে, ৯৯ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে টাকার মাধ্যমে।
আশা করি উক্ত ৭ টি বিষয় একজন ছাত্রের ব্যক্তি জীবনে উন্নয়ন মূলক পরিবর্তন আনতে আপনাকে সহায়তা করবে।
Good post