সুস্থ, ফিট ও আনন্দে থাকার ১০ টি রহস্য
যে কোন অবস্থায় নিজেকে আবদ্ধ না রেখে মুক্ত রাখা উচিৎ। স্বাস্থ্য এমন সম্পদ যা আপনাকে এক সেকেন্ডে কাতর করে দিতে পারে। নিজেকে শক্ত পোক্ত ভাবে গড়ে তুলতে হলে মনকে প্রসারিত করুন আর সঠিক চিন্তা করুন । জীবনে সকল কাজ সুষ্ঠ ভাবে করার জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার খুবই প্রয়োজন। কিছু অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে যা সাথে সাথে মানসিক ভাবেও আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।
নিজেই নিজের যত্ন নিনঃ নিজেই নিজেকে যত্ন নিন, মোটিভেশন দিন, উপহার দিন। প্রতিদিন নতুন কিছু অর্জনের জন্য চেষ্টা করুন। শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতার দিকেও নজর দিন। দেহ ও মনের কম্বিনেশনে আপনি ভাল কিছু অর্জন করেন। আপনিই আপনাকে নিয়ে বেশি জানেন। তাই সর্বদা নিজের খেয়াল রাখুন আর সুস্থ থাকুন। আর সুস্থতার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া অর্জন করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমানঃ সারাদিন এর ক্লান্তি দূর করার জন্য এবং আগামী দিন এর পুরো উদ্যোম এর জন্য মিনিমান ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। একটি আরামদায়ক ঘুমের জন্য পরিবেশ তৈরি করুন যেন এনার্জি পরিপূর্ন হয়। রাতে বিছানায় শুয়ে দেহ ছেড়ে দিয়ে গভির শ্বাস নিন এবং মনে মনে গননা করুন যা আপনাকে অনেক হাল্কা করে তুলবে। ঘুমাতে যাওয়ার ৩ ঘন্টার আগে কোন ভারি খাবার না খাওয়া ভাল। এবং ১ ঘন্টা আগে থেকে স্ক্রিনিং অফ করুন মানে ফোন বা ল্যাপটপে চোখ না রাখুন। সকালে ওঠার অভ্যাস করুন।
ভ্রমণ করুনঃ ব্যাস্ত ও একঘেয়ে সময় থেকে পরিত্রান এর বড় উপায় হলো ভ্রমনে বের হওয়া ভ্রমণের আগে অবশ্যই ভ্রমনের জায়গা, সেখানের স্যানিটেশন ব্যবস্থা, খাবার পানির ব্যবস্থা ও আবহাওয়া সম্পর্কে ভাল ভাবে জেনে নিতে হিবে। আর সে হিসাবে পোষাক ও সহযোগী জিনিস পত্র নিতে হবে । ভ্রমণের সময় কিছু ইমার্জেন্সি ওষুধ ও মেডিকেল কীট সাথে রাখুন। এখানে আপনাকে কিছু বিষয় এডভান্স ভাবতে হবে ও প্ল্যান করতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য হবে নিজেকে রিফ্রেশ করে নেওয়া যা আপনা শরীর মন দুটোই ভাল রাখে।
রোগ এড়িয়ে চলবেন নাঃ শরীরে জন্ম হওয়া কোন রোগকে অবহেলা করবেন না। হতে পারে সাধারণ মাথা ব্যাথা বা জ্বর। সুষম খাদ্য এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মাধ্যমে আপনি অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারেন । রক্তচাপ,এনিমিয়া, কোলেস্টেরিল, লিভার-কিডিনি, দাত ও চোখের নিয়মিত টেস্ট করানো দরকার। সমস্যা দেখা দিলে আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্তা নিতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও জীবানুমুক্ত পরিবেশ মেইনটেইন করুন রোগ এড়িয়ে চলতে।
স্ক্রিন সময় কমানঃ মানে এই যে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল, টেলিভিশন বা ল্যাপটপের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে আছেন। একটানা এমন হতে থাকলে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের সুস্থতায় প্রয়োজনের বেশি স্ক্রিন এর দিকে নজর না দেওয়া ভাল। সব সময় স্ক্রিনের দিকে টা ব্যায়াম। নিজেকে নিজে আবিস্কার করুন আরো সুস্থ আর উদ্যোমী হয়ে উঠুন।
অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধ করুনঃ কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাল কিছু বয়ে আনে না। অতিরিক্ত চিন্তা শরীর খারাপের কারন হতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তা না করে সমস্যা সমাধানের সহজ রাস্তা বের করা উচিৎ। বরং চিন্তার বিষয়টি আপনি শেয়ার করুন ক্লোজ কারোর কাছে। তাতে হাল্কা লাগবে আর এর জন্য সমাধানও পেয়ে যেতে পারেন আপনি। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে জীবন নাশের ভয়ও থেকে যায়।
মননশীলতার অনুশীলন করুনঃ মন কে ধরে রাখার কৌশল অবলম্বন করুন। অনেকেই অনেক কাজে না বলতে পারেন না যার জন্য নিজেই নিজেকে দোষারোপ করতে থাকেন। এই ব্যাপার গুলো নিজেকে নিজের প্রতি অবেহেলায় ফেলে দেয়। যে কোন কাজে মাইন্ড সেট আপ করা আর সেই হিসাবে কাজ করে সফলতা উল্লাসে পরিনত হয় যা শরীর মন ভাল রাখে।
বিশ্রাম করুনঃ বিশ্রাম ছাড়া আমাদের শরীর অচল। কোন কাজ একটানা না করে বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে করা ভাল তাতে ব্রেইন ফ্রেশ থাকে ও ক্লান্তি কম বোধ হয়। কাজ এবং বিশ্রাম একে অপরের যাথে জড়িত। নিজেকে ফিট আর সুস্থ রাখতে সঠিক বিশ্রামের বিকল্প নেই। রাতে না ঘুমালে দিনের বেলায় কখনো সে ঘুমের ঘাটতি পূরন হয় না।
সবুজ ফলমূল খানঃ নিয়মিত সবুজ ফল ও শাক-সবজি খান। এটি আপনার হার্টকে ভাল তো রাখেই সাথে বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে। মৌসুমী ফল থেকে শুরু করে সবজি সবই আপনার পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়া উচিৎ। প্রতিদিন এর খাবার তালিকায় সবুজ সবজি রাখুন। আর নাস্তায় রাখুন ফল।
নিজেকে সময় দিনঃ এর চাইতে ভাল কাজ আর কিছু হতে পারে না। নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিন যেন সব বিষয়ে আপনার মাইন্ড ম্যাপ ওকে থাকে। সব কাজে যেন ফোকাস করতে পারেন। নিজেকে সময় না দিলে ভিন্নধর্মী চিন্তা করতে পারবেন না। আর সৎ চিন্তা করা ব্রেনের জন্য ভাল এক
আশা করি উপরের ১০ টি টিপস আপনাদের খুব কাজে আসবে স্বাস্থ্য সচেতনতায়। সুস্থ থাকুন আর নিরাপদে থাকুন।তাকিয়ে কাজ করার জন্য রেডিয়েশন প্রটেক্টেড চশমা ব্যবহার করতে পারেন।