৭ টি সাইকোলজিক্যাল বিষয় যা আয়ত্ত করা উচিৎ সবারই
ব্যক্তি জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা বিভিন্ন আচরগত কৌশল অবলম্বন করে থাকি। এই কৌশল গুলোকে মনস্তাত্ত্বিক বিষয় বা সাইকোলোজিক্যাল বিষয় বলা হয়। একজন সাধারন রিক্সা চালক থেকে শুরু করে কোম্পানীর বস পর্যন্ত সবাই বিভিন্ন সাইকোলোজিক্যাল বিষয় প্রয়োগ করে থাকে। বলা চলে সাইকোলোজিক্যাল বিভিন্ন বিষয় আমাদের উদ্দ্যেশ্য সফল হতে অনেক ভূমিকা রাখে। আশা রাখি এই ৭ টি সাইকোলোজিক্যাল বিষয় আমাদের জীবন প্রবাহকে আরো গতিময় করবে।
সামনের জনের চোখের দিকে তাকানঃ মনে করুন আপনি ভাইবা বোর্ডে আছেন, আর আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হলো যা আপনার কাছে বিব্রতকর, প্রশ্ন বুঝতে সমস্যা হতে পারে অথবা আপনার পছন্দ না হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নটি রিপিট না করে বা অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা না করে আপনি তার চোখের দিকে তাকাতে পারেন। এর ফলে উনি কোণঠাসা বোধ করবেন, চাপ অনুভব করবেন এবং চিন্তার উন্নতি ঘটাবেন। পরের বার অবশ্যই মান সম্পন্ন প্রশ্ন করবেন।
কারোর উচ্চস্বরে শান্ত থাকুনঃ শান্ত থাকা অনেক বড় এক একটা গুণ। যখন কেউ উচ্চস্বরে কথা বলে সেটা অবশ্যই রাগের জন্য হয়ে থাকে। আমাদের আচরণ গুলো অনেক সময় তাদের রাগকে আরো উস্কে দিতে পারে তাই সেই সময় শান্ত থাকার অভ্যাস অনেক বিপদ কাটিয়ে দিতে পারে। রাগ সাধারনত দ্রুত কমে যায় আর অণুশোচনার তৈরি হয় এবং তিনিই আগে ক্ষমা চান। তাহলে রাগের পেছনে শান্ত থাকায় শ্রেয়। অনেকেই বলেন রাগের পেছনে ভয় লুকিয়ে থাকে।
সহকর্মীর নাম ধরে ডাকুনঃ কারোর নাম ধরে ডাকা হলে তিনি নিশ্চয় খুব খুশি হন। নতুন জায়গায় বা নতুন অফিসে সহকর্মীদের নাম ধরে ডাকলে সবার নজর আপনার দিকেই থাকবে। সবার দৃষ্টি আকর্শন করার এক কৌশল এটি। অনেকের নাম মনে থাকে না। টেকনিক্যালি মাথা খাটালেই সবার নাম মনে রাখতে পারবেন।
চিন্তাগুলো লিপিবদ্ধ করুনঃ আপনি যখন চাপে থাকেন, চিন্তা করেন বা উদ্বিগ্ন বোধ করেন তখন কিছু আইডিয়া আপনার মাথায় খেলা করে। ডায়েরিতে আপনার সে আইডিয়ার চিন্তাগুলো লিখে ফেলুন। তার মানে আপনার আইডিয়া গুলো শেয়ার করা হয়ে গেছে লিখার মাধ্যমে। এর ফলে আপনি কাজে আরো মনোযোগী ও ফোকাসড হতে পারবেন। লিখা গুলো মনকে অনেক হাল্কা করবে। অভ্যাসে গড়ে তুলুন উদ্বিগ্নতায় লিখা লিখির। মনে রাখবেন একটি সৎ আইডিয়া অনেক ভাল ফল বয়ে আনতে পারে যদি সেটাকে লালন করা হয়।
সঠিক ভঙ্গিঃ অনেকেই অঙ্গ-ভঙ্গির ও দৃষ্টি-ভঙ্গির ব্যাপারে খুব সচেতন। কারন বিষয়টি তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। কাজ ও আনন্দ উভয় ক্ষেত্রেই সঠিক ভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তি ও কর্ম জীবনকে আরো উন্নত করে সঠিক ভঙ্গি। এটি আচার আচরন চলা ফেরা সব কিছুকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
হাত গরম করুনঃ হ্যা আপনার সহযোগীর নিকট করোমর্দন এর সময় গরম হাত এগিয়ে দিন। আপনি হয়ত জানেন না, ঠান্ডা হাত অবিশ্বাসের সাথে যুক্ত। উষ্ণ হাত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রচার করে।
আক্রমণকারীর কাছাকাছি বসুনঃ যদি এমন হয় যে এমন এক ব্যক্তির সাথে আপনার মিটিং আছে যিনি সুবিধার নন আক্রমণাত্মক। এবং আপনি জানেন যে আলোচনা উত্তপ্ত হতে পারে সেক্ষেতে তার পাশে গিয়ে বসুন। ঘনিষ্ঠ নৈকট্য মানুষকে অস্বস্তিকর করে তোলে আগ্রাসনের মাত্রা কমিয়ে দেবে।
বিভিন্ন ঘটনা বা পরিস্থিত সামাল দেওয়া একজন মানুষকে অনেক বড় সাইকোলজি শেখায়। তবে প্রফেশনাল জীবনে এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন সেমিনার বা ওয়ার্কশপ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল ট্রেইনিং করে থাকেন। সর্বোপরি নিজের ও অর্থ-সামাজিন উন্নয়নে এর প্রভাব রয়েছে।