ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট লিস্টিং করে এফিলিয়েট ইনকাম একদম সহজ
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম পাওয়া। প্রোডাক্ট হিসাবে এফিলিয়েট কমিশন ৫০-১০০০ টাকা হতে পারে। সহজ কথায় অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রফিট ইনকামই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আর রিসেলিং হচ্ছে অন্যের প্রোডাক্ট নিজে পাইকারি দামে কিনে সেটা বিক্রির মাধ্যমে ইনকাম, এখানে ইনভেস্ট থাকতেও পারে মানে পণ্যটি আপনি পুনরায় বিক্রি করছেন। বর্তমান বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠান এফিলিয়েটদের দিয়ে তাদের পণ্য বা সেবা প্রোমোট করে যাচ্ছে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বেশ ভাল ধারনা রাখে এবং অনেক মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারে।
বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক অনলাইন শপ তাদের বিক্রি বৃদ্ধির জন্য এফিলিয়েটস দের সুযোগ করে দিচ্ছে। রিসেলিং/এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল কাজ হচ্ছে কমিশন অন সেলিং। “নো সেল নো কমিশন। মোর সেল মোর কমিশন”। তাই যারা সেলিং এক্সপার্ট তারা খুব ভাল ইনকাম করতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা রিসেলিং এর মাধ্যমে। শপ গুলো ডেলিভারি দেওয়ার দায়িত্ব শপ নিজেই করে থাকে। একজন এফিলিয়েটকে শুধু কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করে ডেলিভারিতে এড্রেস ও ফোন নাম্বার অর্ডারের জন্য দিতে হয়। মানে আমার কোন নিজস্ব পণ্য না থাকলেউ আমি হাজার হাজার পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারছি।
কোন শ্রেণীর মানুষ এফিলিয়েট করছে?
বাংলাদেশের অনেক ভাই-বোন ফেসবুক মার্কেট প্লেস ব্যবহার করে রিসেলিং করে থাকে। ফেসবুক গ্রুপ পোস্টিং, ফেসবুক পেজ প্রোমোশন, ফেসবুক মার্কেট প্লেস ও ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে ফ্রি ভাবে পণ্য কেনা-বেচা করছে হাজার হাজার অনলাইন সেলার যাদের বেশির ভাগই চাকরির পাশাপাশি করেন, কেউবা গৃহিণী আবার কেউ কলেজ ভার্সিটির ছাত্র। নিজেই ফেসবুক এর মার্কেট প্লেস অপশন ঘুড়ে দেখুন, অনেক সেলার ও প্রোডাক্ট দেখতে পাবেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে একটি প্রোডাক্ট এর ছবিসহ বিস্তারিত তুলে ধরাকে বলা হয় প্রোডাক্ট লিস্টিং বা প্রোডাক্ট আপলোড করা। ফেসবুক/ইন্সটা তো চালানই সেখান থেকে ইনকাম আসলে ক্ষতি কি?
কাদের উচিত এফিলিয়েটকে পেশা হিসাবে নেওয়া
যারা সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন তারা বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে ইন্টারন্যাশনাল সাইটের প্রোডাক্ট/সার্ভিস প্রোমোট করে থাকেন। বাংলাদেশের কিছু সাইটে মানুষ এফিলিয়েট মার্কেটিং করছে যেমন দারাজ ও সহজ বাই। এছাড়াও অনেক নারী উদ্যোক্তারা ফেসবুক গ্রুপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে রিসেলিং করান এখানেও অনেক মানুষ কাজ করেন। আসলে ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার আপনাকে অনেক ভাবেই সাইড ইনকাম এনে দিতে পারে। অনলাইন শপ টু এফিলিয়েট, এফিলিয়েট টু প্রোডাক্ট প্রোমোশন, এবং প্রোমোশন টু সেলস সব কিছুর ক্রেডিট অনলাইন মাধ্যমের। এমনকি এলাকার মুদি দোকানও এখন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বিক্রি বৃদ্ধির উপায় বের করে ফেলেছে।
এফিলিয়েটে আগ্রহের কারণ কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন টাকা ডিপোজিট লাগেনা বলে নতুনদের আগ্রহ অনেক বেশি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট সেলিং করে এফিলিয়েট কমিশন ইনকামের সহজ একটি উপায় তৈরি করে দিয়েছে সহজ এফিলিয়েটস। মাতৃভাষায় এফিলিয়েট সহজ এফিলিয়েট। এফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড় অংশ। সহজ বাই প্রায় ১৫০০+ প্রোডাক্ট নিয়ে হাজার হাজার নতুন উদ্যোক্তাকে সহায়তা করে যাচ্ছে এফিলিয়েট ইনকাম করতে। বাংলাদেশের নাম্বার ১ এফিলিয়েট সাইট হচ্ছে সহজ বাই।
বাংলাদেশের সকল সেক্টরের মানুষ ফেসবুক চালাতে অভ্যস্ত এখন। এখন অনলাইনে প্রোডাক্ট কিনতে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আপনি যদি নিয়মিত ফেসবুক মার্কেট প্লেসে প্রোডাক্ট লিস্টিং করতে পারেন তাহলে নিশ্চিত এখান থেকে আপনার প্রতিদিনই সেল আসবে। যারা ইতিমধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন বাংলাদেশ থেকে তারা ৫০০/১০০০ খানিক লিস্টিং করে থাকেনই?
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাপোর্ট কেমন?
শুধু তাই নয় এফিলিয়েট মেম্বাররা নিজেদের রেফারেল টিম করতে পারেন। যেখানে ৪ লেভেল পর্যন্ত ইনকাম পেতে পারেন। এক্সপেরিয়েন্সড দের সেলিং কেস স্টাডি থেকে নতুনদের শিখানো হয়। এফিলিয়েট কাজটাকে আরো সহজ ও গতিশীল করতে দ্রুত ডেলিভারি সম্পন্ন করা ও মেম্বারদের সরাসরি সাপোর্ট করতে কাজ করে যাচ্ছে এক দল আইটি এক্সপার্ট। ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।