Fiverr Gig র্যাংকিং ফ্যাক্টর (পর্ব ১)
Table of Contents
আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আমরা ইতিপূর্বে ফাইবার গিগ কিভাবে তৈরী করবেন এবং গিগ কিভাবে দিবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করবো ফাইবার গিগ র্যাংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে।
ফাইবার এ অর্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে র্যাংকিং ফ্যাক্টর অনেক বেশি প্রয়োজনীয় বিষয়। গিগ র্যাংক করার উপর নির্ভর করে আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা। আগের র্যাংকিং ফ্যাক্টর আর এখনকার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগে গিগ একবার র্যাংক করলে বছরের পর বছর সেটা থাকত আর সেল বাড়তো। প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের সেল জেনারেট হতো। কিন্তু এখন প্রতিনিয়ত সবকিছু আপডেট হচ্ছে, এখন ফাইবারে টিকে থাকতে হলে আপনাকে অনেক বেশি আপডেট হতে হবে। ফাইবার গিগ এলগরিদম নিয়ে সবার একটা ভালো ধারনা থাকাটা জরুরী, তাহলে ফাইবারে কাজ করা সহজ হবে।
Fiverr এর অ্যালগরিদম
বর্তমানে ফাইবারের যে ভার্সন চলছে এটার সার্চ ইঞ্জিন পুরোপুরি গুগলের মতো কাজ করতেছে। গুগলের যেমন নিজস্ব নিয়মনিতি বা অ্যালগরিদম আছে, ফাইবারের ঠিক তেমন নিজস্ব কিছু নিয়মনিতি আছে, যা সবার থেকে আলাদা, এটা পুরোপুরি ডায়নামিক এবং প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হচ্ছে। একজন ইউজারের বিহেভিয়ার এর উপর ভিত্তি করে সে রেজাল্ট দেখতে পারে। ফাইবার গিগ র্যাংকিং ফ্যাক্টর এই অ্যালগরিদম এখন ধরা খুব কঠিন ব্যাপার। বিষেশ করে যারা সাধারন ইউজার তাদের জন্য কিন্তু যারা SEO নিয়ে কাজ করে Fiverr নিয়ে স্টাডি করে তাদের জন্য একটু সহজ। গুগলের প্রায় ২০০+ র্যাংকিং ফ্যাক্টর কাজ করে তেমনি ফাইবারেও অনেক ফ্যাক্টর আছে। আমার জানা মতে কিছু ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
মোট অর্ডার এর সংখ্যা
অর্ডারের সংখ্যাকে গিগ র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ফ্যাক্টর বলা যেতে পারে। গিগ এর অর্ডার কম আসলে গিগ আস্তে আস্তে পিছনের দিকে চলে যায়, গিগ এর অর্ডার সংখ্যা সাধারণত মাসিক হিসাব করা হয় লাইফটাইম না। আপনার গিগের কিউতে যত বেশি অর্ডার জমা থাকবে আপনার গিগ তত বেশি সামনের দিকে থাকবে। খেয়াল করে দেখবেন যেসব গিগের কিউতে বেশি অর্ডার জমা থাকে সেসব গিগ সামনের পেজে দেখা যায়। অনেক ভাবেই গিগের কিউতে বেশি অর্ডার জমা রাখা যায়। বায়ারের কাছ থেকে কাস্টম অর্ডার নেওয়ার সময় ডেলিভারি টাইম বাড়িয়ে দিয়ে এটা সহজেই করা যায়।
ক্লিক ভিউ এর মোট সংখ্যা
আপনার গিগে প্রতিনিয়ত কতোগুলো ক্লিক পড়ছে এবং কতোবার গিগ ভিউ হচ্ছে তার উপর গিগের র্যাংকিং অনেকটা নির্ভর করে। আপনার গিগে যদি বেশি ভিজিটর আসে এবং তারা বেশি সময় ধরে থাকে, তারা যদি গিগে বেশি ক্লিক করে তাহলে গিগ র্যাংক করতে সুবিধা হয়। এই জন্য নতুন গিগ পাবলিশ করার পর গিগ মার্কেটিং এর উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যদি ঠিক মতো গিগ প্রমোশন করতে পারি এবং গিগে যদি ভালো ক্লিক ভিউ আসে তাহলে অর্ডার পেতে সহজ হবে৷ তবে মনে রাখতে হবে গিগ মার্কেটিং যেন সুন্দরভাবে করা হয় আর ক্লিক ভিউ যেন অর্গানিক হয় তাহলে গিগ প্রথম এর দিকে থাকবে।
কনভার্সন রেট
কনভার্সন রেট বলতে আমরা বুঝি, আপনার গিগে ক্লিক ভিউ এর অনুপাতে,অর্ডারের মোট সংখ্যা। যেমন আপনার গিগ যদি ১০০ বার ক্লিক ভিউ হয় এবং তাতে যদি ৫ টা অর্ডার আসে তাহলে আপনার গিগের কনভার্সন রেট ৫%। কনভার্সন রেট ৫% এর উপর থাকলে সেটাকে ভালো ধরা হয়। কিন্তু যদি ক্লিক ভিউ আসে কিন্তু সেই অনুপাতে অর্ডার না আসে তাহলে কনভার্সন রেট কমে যায় এবং গিগের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গিগ ভালো করে মার্কেটিং করতে হবে তাহলে অর্ডার বেশি আসবে এবং কনভার্সন রেট ঠিক থাকবে।
রেটিং
গিগে যদি ভালো রেটিং থাকে তাহলে সেই গিগ সামনের দিকে থাকে। মনে রাখতে হবে বায়ার যখন সেলারকে প্রকাশ্যে রেটিং দেয় এর পরে আরও দুইটি রেটিং দেয়। এটা সেলার দেখতে পায় না, শুধু তাই না রেটিং দেওয়ার পর সেলার কোন ক্যাটাগরীতে ভালো সেটাও সিলেক্ট করে দিতে হয়,এগুলো সেলারের গিগ র্যাংকিং এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে বায়ারকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট রাখতে। আর বায়ার কাছ থেকে সরাসরি ভুলেও ভালো রেটিং চাওয়া যাবে না বা কোন ট্রিক্স খাটানো যাবে না, ধরতে পারলে ওয়ারনিং খাবেন।ফাইবারের নতুন রুলস অনুযায়ী এগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
আমরা পরবর্তীতে আরো কিছু ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করবো।
আল্লাহ হাফেজ।