কোন বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনার আগ্রহের বিষয়টি বাছাই করতে পারছেন না? ভাবছেন কিভাবে বাছাই করবেন আগ্রহের বিষয়টি? অবশ্যই ইউটিউব আর গুগলকে আপনার মনের প্রশ্ন গুলো করতে হবে। যেমন ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়গুলো কি? কিভাবে করা যায় ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি ইত্যাদি । আর এই যে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে আপনি যে বিষয়গুলো সার্চ করলেন এগুলোকে বলা হয় “কি-ওয়ার্ড” । কি-ওয়ার্ড থেকেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারেন। মানে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করেই আপনি দেখুন কোন কাজ আমানার ভাললাগে। ইউটিউব এর সহায়তা নিন প্রাথমিক ভাবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর আসল বিষয় হচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে আপনার দক্ষতা আর সময় কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়ালি অন্যের কাজ করে দেওয়া। ধরে নিন, আমার একটি প্রেম পত্র লিখতে হবে আর তার জন্য আমি আমার এক অভিজ্ঞ বন্ধুকে বললাম আমাকে পত্রটি লিখে দিতে বিনিময়ে আমি তাকে অর্থ দিলাম। তাহলে আমার বন্ধুটি “কন্টেন্ট রাইটিং” করল। বিজনেস এর কিং বলা হয় কন্টেন্ট কে । হাজারো-লাখো কোম্পানি তাদের বিজনেস এর প্রচারের জন্য অভিজ্ঞ কন্টেন্ট রাইটিং মানুষদের খোজ করে থাকে। লিখা-লিখির অভ্যাস/আগ্রহ থাকলে কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়।
মনে করুন, আমার কিছু নতুন প্রোডাক্ট এসেছে, আমি চাচ্ছি সে প্রোডাক্ট গুলোকে মানুষের সামনে আকর্ষনীয়ভাবে ভাবে তুলে ধরতে যেন মানুষ আমার নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে পারে। মানুষকে জানানোর জন্য আমার প্রয়োজন ব্যানার, বিজনেস কার্ড, প্যাকেজিং লেবেল, মেন্যু, ক্যাটালগ, পোস্টার ইত্যাদি। “গ্রাফিক্স ডিজাইন” করার মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারে। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কদর বেড়েই যাচ্ছে।
বর্তমানে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে ফ্রিল্যান্সিং এর অবদান নেই। মানে শ্রম আর দক্ষতা কেনা-বেচার মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং। যে কোন দক্ষতাকে ফোকাস করে পরিশ্রম এর মাধমে সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে ওঠা সম্ভব। আসলে কোন কিছুর উপকারিতা বা প্রয়োজনীয়তা না থাকলে সেটা কেনা-বেচা হয় না। কেনা-বেচা/মার্কেটিং এর বিশাল বড় জায়গা জুড়ে আছে ফ্রিল্যান্সিং এর “ডিজিটাল মার্কেটিং” সেক্টর। যেখানে কোন সার্ভিসকে মূল্যায়ন করে প্রচার এর কাজ করা হয়।
সার্ভিস/পণ্যের সেবা সারা পৃথীবিতে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটিং। একজন ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার পণ্য/সার্ভিস এর সেবা খুব ভালভাবে তুলে ধরেন বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তার তার প্রচার সেবার প্রচার ঘটায়। পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে অন্যের পন্য/সেবা বিক্রির মাধ্যমেও প্যাসিভ ইনকাম করতে পারে।
বর্তমান সময়টাই ওয়েবসাইট এর সময়। রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবারই ওয়েবসাট থাকাটা নিজেকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেখানে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সাজানো থাকে যেন সাধারণের পক্ষে তাদের তথ্য জানাটা সহজ হয়। “ওয়েবসাইট ডিজাইন” এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। একবার ধৈর্য্য ধরে কাজটি আয়ত্ত করে নিতে পারলে আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
এছাড়াও আরো অনেক অনেক উপায় রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বেকার সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে ডিজিটাল উদ্যোক্তা সবই হচ্ছে আমাদের দেশে। ৩-৬ মাস এর প্রশিক্ষন আপনাকে অনেকটাই উন্নত করবে টিকে থাকার জন্য। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসতে হলে নিজেকে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবে। কজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের ক্ষিদা থাকতে হবে। আশা করি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টি অতি দ্রুত ঠিক করে ফেলবেন।
যেহেতু বিদেশের কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে তাই যোগাযোগে আপনাকে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। পরিশেষে বলা যায়, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন এর মাঝে দায়িত্ববোধ এর একটি পেশা। তাই রিসার্স করে কোনটা আপনার জন্য পারফেক্ট হবে বাছাই করে আজই কাজে নেমে পড়া।