ফ্রিল্যান্সিং মানেই হাজারো নিয়ম আর আর দক্ষতা

যে কোন কাজ গুছিয়ে শুরু করলে খুব তাড়াতাড়ি ও নিপুন ভাবে তা সম্পন্ন করা যায় । সেটা হতে পাড়ে পড়াশোনা ,গবেষণা কাজ বা ফ্রিল্যান্সিং। কথায় আছে, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজ শুরু করা আর সেখান থেকে ভাল একটি ফল নিয়ে আসা অনেক দক্ষতার একটি প্রমান বলা চলে । ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেমন ছোট ছোট অনেক কাজ আছে তেমনি আছে বড় বড় প্রজেক্ট রয়েছে যা ক্লায়েন্ট লাইভ ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে সেট করে থাকেন অথবা চ্যাটিং এর মাধ্যমে কথা বলে অর্ডার করেন।

বিশাল এই  ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে সফল হতে গেলে কিছু বিষয় মেনেই চলতে হয়। কারন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় আমাদের সামনে আসছে আর উন্নত হচ্ছে অনেক বিষয়। 

কনসিসটেন্সি নিয়ে কাজ করুনঃ

আপনি হয়ত ইতিমধ্যে কোন একটি স্কিল/সার্ভিস নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন কোন মার্কেটপ্লেসে। হিসাব করে দেখুন, কাজটিতে আপনার দক্ষতান কেমন? সেই দক্ষতাকে উন্নত করতে বা নতুন কোন দক্ষতা অর্জন করতে কত সময় দরকার। সেভাবে টাইম ক্যালকুলেশন করুন ঘন্টা, দিন, মাস ও বছর হিসাবে। সেই হিসাবে প্রতিদিন এর সময় আলাদা করে নিন আর হয়ে উঠুন নিজেই নিজের ফ্রিল্যান্স বস। কনসিসটেন্সির আলাদা একটা পাওয়ার ও মজার বিষয় আছে। মিনিমান ৭ দিন প্রাকটিস করে মজাটা নেওয়া শেখা উচিঠ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের। আজকের কনসিসটেন্সি আগামীর সম্বল।

নিজেকে নতুন বিষয়ের সাথে আপডেট রাখুনঃ

প্রতিনিয়ত অনলাইন জগতের পরিবর্তন/আপগ্রেড হচ্ছেই। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার কাজের জন্য কি কি আপগ্রেড এসেছে বা কি কি নিয়ম পরিবর্তন হচ্ছে সে বিষয়ে জানা থা্কতে হবে। নতুন কোন সমস্যা মানেই নতুন কোন সমাধান। আর যেখানেই সমাধান সেখানেই উপার্জন। তাই নিজেকে আপগ্রেড রাখুন। নলেজ এর ক্ষেত্রে বায়ার এর সাথে আপডেট থাকা বড় বিষয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং নিউজ এর সাথে তাল মিলাতে থাকুন।

এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার এর সাথে কানেক্টেড থাকুনঃ

হতে পারে আপনার কোন মেন্টর রয়েছে যাকে আপনি ফলো করেন বা তার কাছে কাজ শেখেন। অথবা আপনি সরাসরি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শিখছেন। এমন যদি হয় যে, কানেক্টেড কোন এক্সপার্ট এর সাথে সব সময়ই আপনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কথা হয়, বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কথা হয় বা সমস্যা নিয়ে কথা হয়। তাহলে বিষয়টি খুব গতিশীল হবে। একজন এক্সপার্ট এর সাথে রেগুলার গুড রিলেশন ফ্রিল্যান্সি ক্যারিয়ারকে আরো উন্নত করবে।


বেশি চাপ নেওয়ার অভ্যাস করুনঃ

ফ্রিল্যান্সিং মুক্ত পেশা হলেউ এখানে চাপের কমতি নেই। যে কোন সময় অর্ডার আসা ও জমাদান দেওয়া লাগে। অনেকেই বেশি চাপের জন্য টিম ওয়ার্ক করে থাকেন মানে একটি কাজ অনেকজন মিলে সম্পন্ন করেন। মার্কেটপ্লেসে ২৪/৭ এক্টিভ থাকতে হয় আর সে কোন সময় কাজ বা রিভিশন জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। বায়ার এর সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে কাজ করা, কাজ জমা দেওয়া এবং পেমেট হাতে পাওয়া ও সহযোগীদের বন্টন করা অনেকটা পথই পাড়ি দিতে হয় তাই এই ফ্রিল্যান্সং পথে। 

পারসোনাল ওয়েবসাইট/পোর্টফোলিও তৈরি করুনঃ

আপনি অবশ্যই চাইবেন বায়ার আপনাকে খুব সহজেই বিশ্বাস করুক আর বেশি এমাউন্টে আপনাকে হায়ার করুক। সে জন্য বায়ার এর কাছে খুব সহজে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন পোর্টফোলিও এর মাধ্যমে। যেখানে আপনার পরিচিতি থাকবে, কাজের স্যাম্পল থাকবে, আগে কাজ করে থাওকলে তার রিভিউ থাকববে। মানে আপনার নামে সাজানো গোছানো একটা ওয়েবসাইট থাকবে যা খুব সহজে আপনার বায়ার স্যাটিসফেকশনে ভুমিকা রাখবে।

কথা বলছিলাম একজন ওয়েব ডেভোলপার এর সাথে যিনি বাংলাদেশ থেকে সরকারী প্রশিক্ষন এর মাধ্যমে কোর্স করেন এবং বর্তমানে দেশি ও বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠানে পার্মানেন্ট ভাবে কাজ করেন। অবশেষে যারা নতুন তাদের জন্য অনেক শুভ কামনা।

1
0
Rakibul Islam Khan

Rakibul Islam Khan

writing is my passion. I like to write and expression many vision to other. Before writing I lesson many thing. My concern on welfare of human Being that have scientific explanations.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *