ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি এমাজনে প্যাসিভ ইনকাম
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্যাসিভ ইনকামে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ । এখানে রয়েছে অসংখ্য ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট ও বিভিন্ন কোম্পানীর হাই রেটেড প্রোডাক্ট। প্রোডাক্ট এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য, কি দিয়ে তৈরি, ব্যবহার বিধি ও সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদী উল্লেখ করে তা লিখিত কন্টেন্ট বা ভিডিও কন্টেন্ট আকারে পাবলিশ করে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন আজকেই। বিশেষ করে যারা ব্লগিং করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বেস্ট হবে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং।
মনে করুন, আপনার কাছে অনেক বিক্রিয়যোগ্য পন্য আছে তাহলে । সেগুলো বিক্রি করবেন ওয়েবসাইট, পেজ ও বিভিন্ন কমিউনিটিতে প্রচার/প্রোমোশন এর মাধ্যমে ।।এমনকি আপনি কিছু লোক নিয়োগ দিবেন যারা আপনার সেলস টার্গেট ফিল আপ করবে ও বিনিময়ে তারা কমিশন পাবেন বা বেতন পাবে। তেমনি ভাবে এমাজন হাজার হাজার মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য।
এমাজন ই-কমার্সে প্রতিদিন হাজার হাজার পন্য যুক্ত হচ্ছে ও সেল হচ্ছে। একজন কাস্টমার নতুন ও আকর্ষনীয় প্রোডাক্ট এর স্পেশাল ফিচার জানবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই প্রোডাক্ট এর রিভিউ, স্টোক ও বিশেষ ফিচার সমেত একটি ব্লগ পোস্ট আপনার সাইটে ট্রাফিক আনবে ও সেলও হবে। কাস্টমার কোন কিছু কেনার আগে অবশ্যই তা সার্চ বারে লেখে ও বিশেষ ইনফরমেশন নিতে চেষ্টা করে। আর একজন এফিলিয়েট মার্কেটার তার কাস্টমার এর জন্য আগেই ব্লগ করে রাখে। তার মানে একজন এফিলিয়েট মার্কেটারকে অনেক আগে থেকেই প্লান করে আগাতে হয়। কাস্টমার এর সন্তুষ্টি আসবে এমন কিছু বিশেষ তথ্য তার ব্লগ কন্টেন্টে আগেই ইনপুট করতে হয়। আপনার প্রকাশিত লিখার বা ভিডিও উপস্থাপনায় রিডার যেন কাস্টমারে কনভার্ট হয় সেই কৌশলটা আপনাকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রোডাক্ট রিভিউ এর মাধ্যমে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার এমাজন এফিলিয়েট করে মাসে হাজার ডলারও ইনকাম করছে। একটিভ ইনকামের পাশাপাশি সবাইকেই প্যাসিভ ইনকামের দিকে ফোকাস হওয়া উচিৎ। কারণ মার্কেটপ্লেসে বা বাইরে সব সময় একটিভ ক্লায়েন্ট থাকে না। তাই সাপোর্ট হিসাবে প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য এমাজনকে বেছে নেওয়া উচিত। ইন্টারনেটে পারদর্শী কোন ব্যক্তি বর্তমান সময়ে বসে না থেকে সহজেই প্রোডাক্ট কপিরাইটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারে ঘরে বসে। তবে একাজের জন্য আপনাকে মার্কেট এনালাইসিস ও কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে আগাতে হবে ও প্রতিদিনের পোস্ট ও শেয়ার প্রতিদিনই করতে হবে। মানে আপনাকেই আপডেট রাখতে হবে ৬০ দিন একটানা। তবেই বেস্ট রেজাল্ট পাবেন।
আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকলে এমাজনে তা সেলও করতে পারবেন বিশ্বব্যাপী। এমাজন এফিলিয়েট মেম্বার হিসাবে কাজ করা খুব বেশি কঠিন নয়। আজকেই আপনার জিমেইল ও কিছু তথ্য দিয়ে এমাজনে এফিলিয়েট হিসাবে জয়েন করতে পারেন। তবে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং দীর্ঘমেয়াদি একটি সিদ্ধান্ত যার জন্য আপনাকে আলাদা মাইন্ড সেট করতে হবে। কন্টেন্ট এর প্রতি ফোকাসিং হতে হবে তাহলে একবার ভাইরাল হয়ে গেলে বার বার একই লিংক থেকে সেল হবে। যত সেল তত কমিশন।
মনে রাখবেন, কোন কাজই কঠিন নয়, আবার সহজ নয়। ইচ্ছা করলে যে কোন কঠিন কাজও আল্লাহ সহজ করে দিতে পারেন শুধু সময় মেনে রেগুলার ব্যাসিসে কাজ করে যেতে হবে আর জানার আগ্রহ থাকতে হবে সব সময় ভেতরে। খেয়াল করলে দেখতে পাবেন আপনি কাউকে সার্ভিস প্রদান করে তার বিনিময়ে ইনকাম করছেন এটা একটিভ ইনকাম। কিন্তু এই সার্ভিস এর পাশাপাশি আপনি যদি প্রোডাক্ট রিসার্চ করে টানা ৬০ দিন ৬০টি ইউনিক কন্টেন্ট পোস্ট করেন তাহলে ট্রাফিক দেখে নিজেই অবাক হবেন। এফিলিয়েট ইনকাশ স্টার্ট হয়ে যাবেই ইনশাল্লাহ।
এমাজন এফিলিয়েটকে এমাজন এসোসিয়েটও বলা হয়। আমি একজন এমাজন এফিলিয়েট এসোসিয়েট। শুধুমাত্র ব্লগ/ওয়েবসাইট দিয়েই কাজ শুরু করতে পারেন। হরেক রকমের প্রোডাক্ট রয়েছে যা বিভিন্ন কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি কাস্টমার এর সামনে তুলে ধরতে পারবেন। কমিশন রেট ২০% ( ক্যাটাগরি হিসাবে কম বেশি আছে)। রেফারেল লিংক এর মাধ্যে খুব সহজেই সেল হতে কমিশন পাওয়া যায়। ট্রাকিং ও রিপোর্টিং সিস্টেম ভাল হওয়াই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যায়। পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকেই কাজ করা যায়।
এত ক্ষন ধরে লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং ও লাইফস্টাইল ভিত্তিক যে কোন পোস্ট পেলে অবশ্যই তা পড়বেন ও জ্ঞান আহরন এর চেষ্টা করবেন।