সুস্থ থাকার সহজ উপায়
Table of Contents
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এখানে স্বাস্থ্য বলতে সুস্বাস্থ্য বোঝানো হয়েছে। সুস্বাস্থ্য রক্ষা করার মাধ্যমেই কিন্তু একটি সুন্দর জীবন যাপন করা সম্ভব। আমাদের নিত্যদিনের জীবনের নিয়মমাফিক সুশৃঙ্খল চলাচলই করতে পারে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। আসুন আজ আমরা জেনে নেই প্রতিদিনের সুস্থতা ও ফ্রেশ থাকার জন্য আমাদের নিত্যদিনের চলাফেরাটা কেমন হওয়া উচিত।
১.ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস করাঃ
প্রতিদিনের সুস্হতার জন্য ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস রাখতে হবে। কারন আপনি যখন ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠবেন আপনার শরীর ও মন ভালো থাকবে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে তারা খুব বেশি এনার্জিটিক হয়। তবে সেই এনার্জিটিক মানুষটি আপনি নয় কেন?? ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে সারাদিনের সময়টা ও অনেক বেশি পাওয়া যায়। আবার কথায় আছে – সকাল বেলার হাওয়া হাজার টাকার দাওয়া।
২. খালি পেটে পানি পান করুনঃ
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খালি পেটে পানি পান করতে পারেন। কারন খালি পেটে পানি পান করলে আপনার হজম শক্তি বাড়বে। শরীর থেকে রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে। এতে করে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে। আপনারা আরও একটি কাজ করতে পারেন রাতে ১ গ্লাস পানিতে ১৫/২০ টি কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং সকালে উঠে খালি পেটে তা পান করতে পারেন। এই কিসমিস ভেজানো পানি আপনাদের রক্তস্বল্পতা, আয়রনের ঘাটতি পূরণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সহ ও অনেক উপকার করবে।
৩.সুষম খাদ্য খেতে হবেঃ
সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অনেক সহজলভ্য খাবার থেকেও পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। সুষম খাদ্য তালিকায় অবশ্যই উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিনের উৎস হিসেবে দেশীয় ও মৌসুমি ফল রাখতে হবে।
৪.নিয়মিত হাঁটাঃ
প্রতিদিনের সুস্হতার জন্য আমাদের নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রাখতে হবে এবং শরীরকে চালনা রাখতে হবে। এতে করে মানসিক দুশ্চিন্তা কম হবে। হার্ট ভালো থাকবে। অনেক বড় বড় লেখক, দার্শনিক, গনিতজ্ঞের জীবন থেকে আমরা জেনেছি হাঁটতে হাঁটতে তারা কত জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন। নিয়মিত হাঁটলে মানুষের চিন্তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় ও মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে।
৫.ধূমপান ও নেশা জাতীয় অভ্যাস ত্যাগ করাঃ
অবশ্যই নিয়মিত সুস্হ থাকার জন্য এমনকি আপনার জীবনের দীর্ঘদিনের সুস্হতার জন্য ও সকল প্রকার ধূমপান ও নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত। কারন এসব কুখাদ্য ব্যাক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবনে কী বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা আমরা সবাই জানি।
৬.পরিবারের সাথে সময় কাটানোঃ
মাদার তেরেসা বলেছেন- তুমি যদি বিশ্ব পরিবর্তন করতে চাও, গৃহে ফিরে যাও এবং তোমার পরিবারকে ভালোবাসো। পরিবার ছাড়া আপনি গন্তব্যহীন পথিক।পরিবার মানসিক শান্তির অন্যতম উৎস।তাই ভালো থাকতে অবশ্যই পরিবারের সাথে সময় কাটাতে হবে।
৭.ঘুমঃ
নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এই ৭-৮ ঘন্টা ঘুম আপনাকে সতেজ রাখবে। নিজ নিজ কাজের প্রতি মনোযোগী করবে।
৮.চিনি জাতীয় খাবার বর্জনঃ
অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। কারন এটা লিভারের ক্ষতি করে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খান এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। প্রতিদিন ২/৩ টি আমলকী খেতে পারেন যা আপনাকে তরুণ রাখবে। খাবারে বাদাম রাখতে পারেন। বাদামে আছে ফ্যাটি এসিড এবং বাদাম স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের এই অভ্যাসগুলোই আপনাকে করে তুলতে পারে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। আর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে আপনাদের শরীর ও মন ভালো থাকবে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এতে করে খুব সহজে বড় বড় রোগ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি থাকবেন প্রাণবন্ত।
Thanks for your informative post.
অনেক সুন্দর