Fiverr Gig র্যাংকিং ফ্যাক্টর (পর্ব ২)
Table of Contents
আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আগের পোস্টে আমরা ফাইবারের কিছু র্যাংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এই পোস্টে আমরা আরো কিছু র্যাংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করবো।
লেভেল
গিগ র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে লেভেল এর বিষয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। সাধারণত যাদের লেভেল নাই বা নিউ সেলার তাদের চেয়ে যারা লেভেল ২ তারা ৪ গুন বেশি ট্রাফিক পায়। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায় যে একজন টপরেটেড সেলার ও নতুন গিগ দেওয়ার পর অর্ডার আসতেছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় লেভেল পাওয়ার পর অর্ডার কম পাওয়ার অভিজ্ঞতা দেখা যায়,এর মানে হচ্ছে যে লেভেল পাওয়ার পর র্যাংকিং লেভেল কিছুটা ডাউনে চলে যায়। কিন্তু কিছুদিন পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায় । অর্থাৎ লেভেল পাওয়া অনেকটা ভুমিকা রাখে গিগের র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে।
রেসপন্স রেট এবং রেসপন্স টাইম
ফাইবার গিগ র্যাংকিং করার ক্ষেত্রে এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রেসপন্স রেট এবং রেসপন্স টাইম এর উপর ফাইবার গিগ র্যাংকিং করা অনেকটা নির্ভর করে। একজন বায়ার যখন কোন সেলারকে মেসেজ দিলো এবং সেলার কোন উওর ই দিলো না এর চেয়ে কষ্টকর বিষয় আর কি হতে পারে, আপনি নিজেকে বায়ারের জায়গায় কল্পনা করলে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।ফাইবার এটা খুব অপছন্দ করে। দ্রুত এবং সময়মতো রেসপন্স না করলে আপনার রেসপন্স রেট কমতে থাকবে এবং রেসপন্স টাইম বাড়তে থাকবে। এর ফলে আপনার গিগের র্যাংক চলে যেতে পারে। এর সমাধান করার জন্য আপনার স্মার্ট ফোনে ফাইবার এ্যাপ ইনষ্টল করে রাখুন যাতে আপনি দ্রুত বায়ারের মেসেজ এর রিপ্লাই দিতে পারেন। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে বায়ার মেসেজ দেওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দিতে। বায়ার মেসেজ দেওয়ার সাথে সাথে উওর দিলে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর বায়ারের মেসেজের ৩০ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিলে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা ৫০% থাকে।
অন টাইম ডেলিভারি
অন টাইম ডেলিভারি ফাইবার গিগ র্যাংকিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডেলিভারি টাইম পার হওয়ার আগেই অর্ডার ডেলিভারি দেওয়া ফাইবার পছন্দ করে। কাজ ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ১২ ঘন্টা সময় বাকি থাকলে ফাইবার একটা ওয়ার্নিং মেসেজ দিয়ে থাকে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দেওয়া উওম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করতে পারলে বায়ারের সাথে কথা বলে সময় বাড়িয়ে নিন, বায়ার বুঝতে পারলে অবশ্যই সময় বারিয়ে দেবে কিন্তু ঘন ঘন এমন কিছু করা যাবে না। এতে করে আপনার গিগ র্যাংকিং এ সমস্যা হবে। সময় মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে আপনার গিগের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
এক্টিভ সেলার
ফাইবারে যেসব সেলাররা রেগুলার কাজ করে থাকে বা যেসব সেলাররা ২৪ ঘন্টা এক্টিভ থাকে ফাইবার তাদেরকে খুব পছন্দ করে যেসব সেলার এক্টিভ থাকে না ফাইবার তাদেরকে পছন্দ করে না আর এক্টিভ থাকা বা না থাকার উপর ফাইবার গিগ র্যাংকিং নির্ভর করে থাকে । অনেক লম্বা সময়ের জন্য যদি আপনি ফাইবারে না থাকেন তাহলে ‘out of office ”বলে একটা অপশন আছে সেটি আপনি চালু রাখতে পারেন কিন্তু এতে করে আপনার গিগ র্যাংক হারাবে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে নাও আসতে পারে। তাই সব থেকে ভালো হয় রেগুলার এক্টিভ থাকা। পিসি বা ল্যাবটপ এ এক্টিভ থাকতে না পারলে মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে এক্টিভ থাকা।
কীওয়ার্ড
ফাইবার গিগ র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে কি ওয়ার্ড একটা অনেক বড় ফ্যাক্টর। ফাইবারের গিগ র্যাংকিং ফ্যাক্টরগুলো অনেকটা গুগলের মতো তাই আপনার গিগ যদি লোগো ডিজাইন এর উপর হয় তাহলে Logo design টি কি ওয়ার্ড হিসেবে থাকতে হবে, এবং আপনার গিগের টাইটেল এ অবশ্যই এই কি ওয়ার্ডটি একবার হলেও থাকতে হবে। গিগ ডেসক্রিপশনে কি ওয়ার্ড এক দুইবার থাকতে হবে, তবে বেশিবার ব্যবহার করা যাবে না, বেশি ব্যবহার করলে ফাইবার রোবট এটাকে স্পাম হিসেবে নিবে এবং গিগ র্যাংক নাও করতে পারে।
গিগের নীচে যে ৫ টা কিওয়ার্ড দিতে হয় সেগুলো খুব সাবধানে দিতে হবে। প্রথমটি মেইন কি ওয়ার্ড হতে হবে এবং বাকি ৪ টিও গিগ রিলেডেট, যেগুলো দারা সার্চ বেশি করা হয় এমন কি ওয়ার্ড হতে হবে। বেশি বেশি গিগ রিসার্চ করে কিওয়ার্ড গুলো সিলেক্ট করে দিলে বেশি ভালো হয়।
অর্ডার কমপ্লিটেশন রেট
অর্ডার কমপ্লিটেশন রেট বলতে অর্ডার সুষ্ঠুভাবে শেষ করা হয়েছে কিনা সেই পারসেন্ট কে বোজায়। বায়ারের কাছে যে কোন অর্ডার নিলে সেটি অবশ্যই সম্পূর্নভাবে শেষ করতে হবে এবং সবসময় চেষ্ঠা করতে হবে কোন অর্ডার যেনো সহজে ক্যান্সেল না হয়। অর্ডার ক্যান্সেল হলে গিগের র্যাংকিং কমে যাবে আর বেশি অর্ডার ক্যান্সেল হলে আইডি ব্যান্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদেরকে সময়মত অর্ডার গুলো ডেলিভারি দিতে হবে এবং সম্পূর্ণরুপে শেষ করতে হবে।
পরবর্তীতে আমরা আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আল্লাহ হাফেজ।