ড্যামেজ চুল রিপেয়ারের সাপ্তাহিক রুটিন
চুলের যত্ন যখন আমরা ঠিক মত নেইনা তখন ধীরে ধীরে আমাদের চুল রুক্ষ, ফ্রিজি, ড্যামেজ হয়। চুলের আগা ফাটতে শুরু করে। চুল হয় ঝলমলহীন এবং এতে করে চুল পড়া শুরু হয়।একটু সময় নিয়ে সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিলে আমরা পেতে পারি ঘন ও লম্বা চুল।
বর্তমান সময়ে মেয়েদের খুব কমন সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হল ড্যামেজ চুল। আসুন আমরা আজকে ড্যামেজ চুলকে কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে রিপেয়ার করা যায় এই বিষয় সম্পর্কে জানবো…
১. ড্যামেজ চুল রিপেয়ারের প্রথম কাজটি হবে তেল। চুলের যত্নে নারকেল তেল আমরা পছন্দের তালিকায় রাখতে পারি।কারন নারকেল তেলের শোষণ ক্ষমতা অনেক বেশি।নারকেল তেল খুব সহজে চুলের সাথে মিশে যায় এবং রুক্ষ, ফ্রিজি হেয়ারকে করে ডিপলি ময়েশ্চারাইজার। রিসার্চে দেখা গেছে আমাদের চুল কেরোটিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরী। নারকেল তেল আমাদের চুলের এই প্রোটিন লসকে প্রতিরোধ করে। তাই ড্যামেজ চুল রিপেয়ারে নারকেল তেল একটি আইডিয়াল সমাধান।
২. চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করার জন্য আমরা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারি। কারন ক্যাস্টর অয়েলে আছে রাইসিনোলিয়েক এসিড এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড।ক্যাস্টর অয়েল যখন মাথার তালুতে ম্যাসেজ করা হয় তখন এটা মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
৩. এখন চুলের জন্য একটি এসেনশিয়াল অয়েলের কথা বলবো। বাজারে অনেক রকম এসেনশিয়াল অয়েল পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি গুণগত ও মানসম্মত অয়েল হল ল্যাভেন্ডার অয়েল। এটি নতুন চুল গজানোর পাশাপাশি খুশকি দূর করে এবং মাথার তালুতে ঠান্ডা ইফেক্ট দেয়।হেয়ার অয়েলগুলোর উপকার সম্পর্কে তো জানা হল এখন প্রশ্ন হল সবগুলো হেয়ার অয়েল একসাথে ব্যবহার করা যায়-
#প্রথমে ১ টি বাটিতে চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী নারকেল তেল নিতে হবে।এরপর নারকেল তেলের অর্ধেক পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল নিতে হবে। এরসাথে ৩-৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল নিয়ে ভালভাবে মিক্সড করে মাথার তালুতে অ্যাপ্লাই করতে হবে সপ্তাহে ২ দিন।এই তেলটা ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। ২/৩ মাস এই পদ্ধতিতে তেল দিলে আপনারা নিজেরাই চুলের আগের ড্যামেজ চুলের সাথে পরের রিপেয়ার চুলের পার্থক্য করতে পারবেন।
৪.এখন আসি চুলের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার নিয়ে শ্যাম্পু কখনই চুলে সরাসরি ব্যবহার করা উচিত না।কারন শ্যাম্পুতে থাকা হার্সনেস চুলের জন্য ক্ষতিকর।আপনার একটি পাত্রে সামান্য পানি নিয়ে এতে শ্যাম্পু মিশিয়ে সমানভাবে সব চুলে অ্যাপ্লাই করতে পারেন। ২/১ দিন পর পর এইভাবে শ্যাম্পু করতে হবে এবং প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল সফট ও নরম থাকবে।
৫. এরপর আসি ড্যামেজ চুলের একটি হেয়ার প্যাক নিয়ে।পরিমাণমত টকদই এর সাথে ডিম মিশিয়ে এরপর তাতে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে ১ টি হেয়ার প্যাক বানিয়ে তা সপ্তাহে ১ দিন চুলে অ্যাপ্লাই করলে ড্যামেজ ভাব কমবে এবং এই সবকটি উপাদান চুলকে ঝলমল ও স্বাস্থ্যকর রাখবে।
৬. আপনার স্বাস্থ্য আপনার চুলে প্রতিফলিত হবে।তাই চুল সুন্দর রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আবশ্যক।
৭. প্রতিদিন পরিমাণমত পানি পান করতে হবে।এতে চুল ভালো থাকবে।
৮. মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। কাঠের চিরুনি চুলে পুষ্টি পৌঁছে দেয়।চুল ও স্ক্যাল্পে প্রাকৃতিক যে তেল মজুদ থাকে কাঠের চিরুনি দিয়ে আচরালে মাথার তালুর সব জায়গায় সমানভাবে পৌঁছায়।
যারা ড্যামেজ চুল রিপেয়ার করে চুলকে হেলদি করতে চান তারা সাপ্তাহিক এই হেয়ার কেয়ার রুটিনটা ফলো করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন আশা রাখছি।
Thank you for your information ❤️
ধন্যবাদ
Very helpful post…
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ♥