যা খুশি বিক্রি করুন মাত্র ৩ টি সহজ উপায়ে
যে কোন জিনিস খুব সহজে আপনি কিভাবে বিক্রি করবেন? বিক্রি সেটা হোক অনলাইনে বা অনলাইনে, বিক্রির কৌশল জানা থাকতেই হবে। খুব সহজ ৩ টি বিষয় যা মাথায় রেখে কাজ করলে বিক্রির পরিমান বেড়ে যাবে আর আপনাকে করবে বিক্রি নিয়ে টেনশন মুক্ত।
নিজেকে বিক্রেতা না ভেবে একজন কন্সাল্ট্যান্ট ভাবুন। বায়ার বা কাস্টমার এর সামনে নিজেকে কখনো সেলার হিসাবে উপস্থিত করবেন না। নিজেকে কন্সাল্ট্যান্ট হিসাবে উপস্থাপন করবেন। মানুষ সাধারনত অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে থেকে সেবা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। কেউই চায়বেনা যে, আপনি তার কাছে সেল করুন। তারা চায় আপনি তাদের সমস্যা সমাধান করুন। কাস্টমার এর সমস্যার বিপরীতে তার সমাধান দিন। এভাবে অটোমেটিক সেল হবে দারুন ভাবে।
কাস্টমার রিলেশন রক্ষা করুন। ক্রেতা না থাকলে বিক্রেতার হয়ে কাজ নেই। উত্তম ব্যবহার এর দ্বারা কাস্টমার এর সমস্যা নির্ধারন করুন আর তা সমাধানের চেষ্টা করুন। রিলেশনশীপ এর জন্য আপনার রেগুলার কাষ্টমার তৈরি হবে। শুধু মাত্র বায়ার-সেলার রিলেশনশীপ এর মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জিত হবে । যার ফল হবে একই কাস্টমার এর কাছে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সেবা বিক্রি করা। যাকে বলা হচ্ছে রিসেলইং এবং রিটার্গেটিং। যে কোন মাধ্যমেই হোক, রিলেশনশিপ বিল্ডিং এর বিষয় মাথায় রেখেই ব্যবস্যা পরিচালনা করবেন।
আপনার সামনের ব্যক্তিটির পেইন পয়েন্ট কি, তার কোন সার্ভিস/সেবা প্রয়োজন সেটা জানা খুবই জরুরী। বিষয়টা এমন যে রোগ না ধরলে কিভাবে কোন মেডিছিন দিবো কি। খেয়াল করলে দেখবেন কোন কাষ্টমার পণ্যের ফিচার জানতে চায় না। কোন সুবিধা বা সেবা তার পেইন পয়েন্ট কিল করতে পারবে সেটাই চায় কাস্টমার। এর এই পেইন খুজে বের করার জন্য কাস্টমার/বায়ার এর সাথে মুক্ত আলোচনা করতে হবে। তার পেইন পয়েন্ট থেকে আস্তে আস্তে সামনে গিয়ে তার বিক্রিতে রুপান্তর করতে হবে।
তাহলে পুরো ব্যাপারটি দাঁড়াবে যে, মানুষের প্রবলেমের সলিউশন এর মাধ্যমে তা সেল/বিক্রিতে রুপান্তর করা যায়। যেখানে বিক্রেতা একজন কন্সাল্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করেন। আর পেইন পয়েন্ট জানতে কাস্টমার/বায়ারকে বেশি বলার সুযোগ দিন। ইনশাল্লাহ, সেল বৃদ্ধিতে ছোট ৩ টি টিপস খুব কাজে দিবে।